ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচনের পরিবেশ ও প্রস্তুতি মূল্যায়নে এসেছে কমনওয়েলথ

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম নির্বাচনের পরিবেশ ও প্রস্তুতি মূল্যায়নে এসেছে কমনওয়েলথ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ ও প্রস্তুতি মূল্যায়নে এসেছে কমনওয়েলথ। পাশাপাশি পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতি নিয়ে সব অংশীজনের ব্যাপক সমর্থন আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি। 

এই লক্ষ্যেই কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন কমনওয়েলথের নির্বাচন সহায়তা বিভাগের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন। কমনওয়েলথের নির্বাচন সহায়তা বিভাগের প্রধান মি. লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে সংস্থাটির ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, মিসেস ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং মিসেস ম্যাডোনা লিঞ্চ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রথা অনুযায়ী, মহাসচিবের পক্ষ থেকে এই মিশন পাঠানো হয়েছে।’

লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ জানান, তারা বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন। প্রধান উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতির বিষয়ে সব অংশীজনের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন আছে কি না, তা নিশ্চিত করা। আমরা বর্তমান পরিবেশ এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতেও এসেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে তথ্য দেওয়ায় অন্তর্র্বতীকালীন প্রশাসন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য কমিশনার ও সিনিয়র সচিবকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের এ দেশে প্রথম দিন। আমরা আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এখানে থাকব। আগামী দিনগুলোতে মিশনটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা ও কূটনৈতিক সম্প্রদায়, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। মিশন প্রধান উল্লেখ করেন, আমরা আমাদের কার্যক্রমে যতটা সম্ভব ব্যাপকভিত্তিক হওয়ার চেষ্টা করছি।

মিশনের প্রধান বাংলাদেশের সঙ্গে কমনওয়েলথের সুদীর্ঘ ও শক্তিশালী ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি অবগত আছি যে, স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে কমনওয়েলথ ছিল প্রথম সংস্থা, যেখানে বাংলাদেশ যোগদান করে।

তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, কমনওয়েলথ সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকেছে এবং আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সেই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।

লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের বলেন, আমরা সবসময় বলি, কমনওয়েলথের সকল সদস্য রাষ্ট্রে গণতন্ত্র একটি চলমান যাত্রা। নির্বাচনের পরেও কমনওয়েলথ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রেখে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। 

তিনি নির্বাচনোত্তর পর্বের (পোস্ট-ইলেকশন ফেইজ) দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলেন এবং জানান, পরবর্তী শাসনচক্রে কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া যায়, সেদিকে তারা গভীরভাবে নজর রাখবেন।

Side banner