যুক্তরাজ্য সরকারের রাজস্ব কর্তৃপক্ষ (রাজস্ব ও শুল্ক) বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের কাস্টমস প্রশাসনের আধুনিকীকরণের চলমান প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত এমওইউ সই করা হয়। ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, এই সমঝোতা স্মারকটি এনবিআরকে মূল কাস্টমস সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের রাজস্ব ও শুল্ক বিশেষজ্ঞদের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির কাঠামোগত রূপরেখা তৈরি করবে। এর আওতায় থাকবে- বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্য সুবিধা চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সম্প্রতি চালু হওয়া অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও) প্রোগ্রামের সম্প্রসারণ।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় যুক্তরাজ্য সরকারের রাজস্ব ও শুল্ক বিভাগ যে সুবিধাগুলো দেবে
১. এনবিআর কর্মীদের জন্য সশরীরে ও অনলাইন প্রশিক্ষণ সেশন
২. শুল্ক সংস্কার ও বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের বিষয়ে প্রযুক্তিগত পরামর্শ
৩. পিয়ার-টু-পিয়ার লার্নিং ও স্বল্পমেয়াদী কর্মী বিনিময়
৪. শুল্ক ঝুঁকি প্রোফাইলিং এবং তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা উন্নয়নে সহায়তা
ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডসন বলেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। আমাদের কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে, বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে কাজ করছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে। দক্ষ শুল্ক ব্যবস্থা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনলক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এই চুক্তি আমাদের শুল্ক আধুনিকীকরণ ও বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের প্রচেষ্টায় একটি মূল্যবান পদক্ষেপ। আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের কারিগরি সহায়তাকে স্বাগত জানাই এবং আমাদের ব্যবস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :