চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ‘বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট’ সমর্থিত প্যানেল ‘রেভ্যুলুশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ ১৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ এবং জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) প্রার্থী কাজী মো. শাহরিয়ার উল্লাহ।
ঘোষিত ইশতেহারে দলীয় আধিপত্যমুক্ত ক্যাম্পাস, মুক্ত জ্ঞানচর্চা, আবাসন ও পরিবহন সংকট নিরসন, শিক্ষকদের দক্ষতা মূল্যায়নসহ নানা বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্যানেলের ১৭ দফা ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে- দলীয় আধিপত্য, জবরদখল ও সংঘাতমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন। চাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন পুনরায় চালু, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও ছাত্র প্রতিনিধি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত। মুক্ত জ্ঞানচর্চা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, প্রশাসনিক সহায়তায় দক্ষ নিরাপত্তাবাহিনী গঠন এবং ‘ইমারজেন্সি সিকিউরিটি সেল’ চালু। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও ছাত্র সংসদকে সকল শিক্ষার্থীর কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি, দলীয় বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত। আবাসন সংকট নিরসনে ডাবল-ডেকার সিট চালু, এক্সটেনশন সংস্কার, অব্যবহৃত ভবন পুনঃব্যবহার। শিক্ষকদের দক্ষতা মূল্যায়ন (টিচার্স এফিশিয়েন্সি রেটিং) কার্যকর করা, বিজ্ঞানভিত্তিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার। সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাধ্যতামূলক, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি।
এছাড়াও অন্যান্য দাবিরগুলোর মধ্যে রয়েছে - পরিবহন সংকট নিরসনে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন, দ্রুতযান বাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন চালু। হলগুলোতে মিল সিস্টেম বাতিল, ডাইনিং ক্যান্টিন চালু, খাবারের মান নিশ্চিত করতে ভর্তুকি বৃদ্ধি ও নিউট্রিশনিস্ট নিয়োগ। মেডিকেল সেন্টারের সেবা উন্নয়ন, মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট চালু, এম্বুলেন্স সংখ্যা বৃদ্ধি, মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেইজ প্রস্তুত, সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করা। সব ধরনের পরীক্ষার ফি বাতিল করা, ছাত্র সংসদ তহবিলের দুই-তৃতীয়াংশ গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়, অযৌক্তিক ফি ও কোটা বাতিল।, সব শ্রেণির শিক্ষার্থীর অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে মানবিক সাম্যের ক্যাম্পাস গঠন। অভিযোগ ও পরামর্শ জানাতে কমপ্লেইন সেল চালু এবং দ্রুত সমাধান, গুপ্ত বা পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতি বিলুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন। ক্যাম্পাসে রিসাইকেল ব্যবস্থা চালু, পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রাণীবান্ধব পরিবেশ গঠন। লাইব্রেরিতে বই ও বিদেশি জার্নাল সংগ্রহ বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও সেমিনার কক্ষ শিক্ষার্থীবান্ধব করা। পরবর্তী চাকসু নির্বাচনে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালু।
আপনার মতামত লিখুন :