এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর হ্যান্ডশেক বিতর্ক ঘিরে বড় ধরনের নাটক তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে। ১৪ সেপ্টেম্বর ম্যাচের পর ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পিসিবি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরানোর দাবি তোলে এবং এশিয়া কাপ থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়।
১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচের আগে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পিসিবি খেলোয়াড়দের স্টেডিয়ামে যেতে নিষেধ করে, কারণ সেই ম্যাচের রেফারি ছিলেন পাইক্রফট। তখন পর্যন্ত পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর আলোচনা চলছিল। এতে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়।
পাকিস্তানের সাবেক বোর্ড প্রধান নাজাম শেঠি সামা টিভিতে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত তো নেওয়া হয়েই গিয়েছিল। তখন সবার মনোভাব ছিল, “জনমতের চাপে বয়কট করি। এশিয়া কাপ যাক জাহান্নামে, আইসিসিও যাক জাহান্নামে।” আমি সবসময় বলেছি আইন মেনে চলা উচিত, আন্তর্জাতিক অঙ্গন ছেড়ে যাওয়া ঠিক নয়। আমার বন্ধুদের কেউ কেউ বলেছিল, “যেও না, তাকে সমর্থন কোরো না।” আমি মহসিন নাকভিকে সমর্থন করতে যাইনি। আমি গিয়েছিলাম পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ও যা করতে চাইছিল তা সফল হতো, পাকিস্তানের অপূরণীয় ক্ষতি হতো। আমাদের এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে শাস্তি পেতে হতো, আইসিসি জরিমানা করতে পারত, বিদেশি ক্রিকেটাররা পিএসএলে খেলতে অস্বীকার করতে পারত, আর আমরা ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ৪২৫ কোটি রুপির সম্প্রচার রাজস্ব হারাতাম। এটা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য অস্তিত্বের সঙ্কট হয়ে যেত।’
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান তাদের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং ম্যাচ খেলতে নামে। তবে ম্যাচ শুরুর আগে পিসিবি দাবি করে যে তারা পাইক্রফটের কাছ থেকে ‘ক্ষমা’ পেয়েছে। যদিও আইসিসি জানায়, পাইক্রফট নিয়ম মেনেই কাজ করেছেন এবং তিনি ম্যাচ রেফারি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন।
পিসিবি অভিযোগ করে যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টসের সময় পাইক্রফট নাকি পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলিকে সূর্যকুমারের সঙ্গে হাত মেলাতে দেননি এবং দলপত্র বিনিময় করতে নিষেধ করেছিলেন। এই ঘটনাই পুরো বিতর্কের সূচনা করে।
আপনার মতামত লিখুন :