চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শহীদুল ইসলাম শহীদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন। চট্টগ্রামে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দায়ের হওয়া হত্যা মামলাগুলোর মধ্যে আদালতে জমা হওয়া প্রথম অভিযোগপত্র এটি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ। বাকি আসামিরা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফয়সাল। আদালতে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালতে বাদীর আবেদন খারিজ করে দেন।
গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শহীদ। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ওই বছরের ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগীর ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছোড়া ১০টি গুলি লেগেছে শহীদুলের শরীরে। শটগান ও বন্দুক থেকে এসব গুলি ছোড়া হয়। তবে কার কার ছোড়া গুলিতে শহীদুলের মৃত্যু হয়েছে, সেটি অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :