সালাউদ্দিন কাদেরের দুই ভাতিজার নামে মামলার আবেদন খারিজ

যৌন হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাতিজা সামির কাদের চৌধুরী ও শাকির কাদের চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলার আবেদন করেন প্রয়াত এক শিল্পপতির স্ত্রী। শুনানি শেষে মামলা গ্রহণ করার মতো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক আব্দুল মোক্তাদির।

মামলার আবেদনে আসামিরা ছিলেন— মেরিনা ইরশাদ, কেশব চন্দ্র নাথ, হারুন অর রশিদ, ফেরদৌস মুনসি, শাহাবুদ্দিন ও মো. ছালাহউদ্দিন আব্বাসি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাদী ঢাকায় ছয়তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৬ সালে সামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর সঙ্গে চুক্তি করেন এবং সমস্ত নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করেন। ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভবনটি সম্পূর্ণ করে বাদিনীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালের ২৪ মার্চ তার স্বামী মারা গেলে, সামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড ও অন্যান্য আসামিরা তার সুযোগ নিয়ে ওই ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টা শুরু করেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রায়ই দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করতেন। এই সুযোগে আসামিরা জাল দলিল তৈরি করে বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্লোর দখলের চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন সময়ে বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদা দাবি করতে থাকে।

২০২৫ সালের ১৪ জুলাই আসামিরা বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটগুলোর তালা ভাঙার চেষ্টা করে এবং বাদীর নিকট থেকে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর ২০২৫ সালের ২৮ আগস্ট আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় বাড়িতে প্রবেশ করে। দারোয়ান বাধা দিলে তাকে মারধর করে এবং বাদীকেও গালিগালাজ করে।

তিনি নিচে নামলে আসামিরা তাকে মারধর করে জখম করে। এ সময় আসামিরা ভুক্তভোগীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌনাচার করেন। বাদীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।